আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার শেরপুরে অটোরিক্সা চালক মিনহাজকে (২২) খুনের পর গুম করে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাই নাটক সাজাতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া খুনি ফজলে রাব্বীর দেখানো মতে পুলিশ শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে গুম করে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বীকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে মিনহাজের লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের পর গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বীর উপস্থিতি বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বী পুলিশকে জানিয়েছে, মিনহাজ তাদের পাশের গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত। মিনহাজ তাকে মাঝে মধ্যেই বø্যাক মেইল করে অনেক টাকা লোকসান করিয়েছে। এ কারনে কয়েকদিন আগে থেকেই মিনহাজকে খুন করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কৌশলে তার অটোরিক্সা ভাড়া করে। ওই রাতেই শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশের্^ ৫শ গজ দুরে নিয়ে যায়। সেখানে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে মিনহাজকে পান করায়। এরপর অচেতন হয়ে পড়লে চাকু দিয়ে মুখ মন্ডলসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। এরপর মরদেহ ধানক্ষেতে লুকিয়ে রেখে অটোরিক্সা ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে যায়। পরে নিজের পায়ের তালুতে নিজেই ছুরিকাঘাত করে পরদিন বুধবার বিকেলে শেরপুর থানায় হাজির হয়। সেখানে নিজেকে খুনের দায় থেকে আড়াল করতে ছিনতাই নাটক সাজায়। তার কথায় পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফজলে রাব্বী নিজেই খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
মিনহাজের বড় ভাই আব্দুল মমিন কাঁন্না জরিত কন্ঠে জানান, নিহত মিনহাজের ছেলে সন্তান হবে তাই সে গুম হওয়ার আগের রাত্রিতে তার ছেলে নাম রেখেছে “আব্দুল্লাহ” গুম হওয়ার পরদিন ছেলে হয়েছে, কিন্তু ছেলেকে দেখার ভাগ্য হল না।